বিখ্যাত এই লাইন গুলো আমাদের সবার পরিচিত। অমিতাভ বচ্চন একটি গন্ডোলায় গান করছেন ভেনিসের গ্রান্ড ক্যানেল এ । বলিউড এর একটি আইকনিক রোমান্টিক সিন।
আমার ইউরোপ টুর এর অভাবনীয় ৪৮ ঘন্টার গল্প তুলে ধরছি সংক্ষেপে। রোম থেকে ট্রেন এ করে ভেনিস পৌঁছায় দুপুর বেলা। মনোরম পরিবেশ, হালকা শীত, নীল আকাশ, আমরা হাঁটতে হাঁটতে হোটেল পৌছালাম।
ঐতিহ্য বহুল ইতিহাস এর ছোয়া ভেনিস শহর এর প্রতিটি কোনায়। পৃথিবীর সব থেকে রোমান্টিক শহর খ্যাত ভেনিস সত্যিই একটি স্বপ্ন। Just magical!
ভেনিসে ঘুরে বেড়ানোর দুটি উপায়, হাঁটা অথবা ওয়াটার ট্যাক্সি। Main Island (San Marco) এ থাকলে হেঁটেই পুরো শহর টা ঘুরে দেখা যায়।

DAY  1
Ca' d'Oro অথবা Palazzo Santa সোফিয়া গ্রান্ড ক্যানেল এ অবস্থিত রাজপ্রাসাদ
Ponte di Rialto অথবা The Rialto Bridge গ্রান্ড ক্যানেল এর সব থেকে পুরানো ব্রীজ
Piazza San Marco অথবা St Mark's Square শহর এর প্রধান স্কয়ার।
St Mark's Campanile অথবা Campanile di San Marco; St Mark's Basilica র বেল টাওয়ার। ভেনিস এর অন্যতম বিল্ডিং|
St Mark's Basilica অথবা Basilica di San Marco, Roman Catholic Cathedral Church.
The Doge's Palace অথবা Palazzo Ducale শহর এর আরেকটা আইকনিক বিল্ডিং। এটি ভেনেসিয়ান গোথিক স্টাইল এ তৈরী।
The Bridge of Sighs অথবা Ponte Dei Sospiri একটি ব্রীজ যেটা Doge Palace থেকে New Prison যোগ করে|
Church of San Zaccaria ১৫ শতাব্দীর Monastic Church.

 

DAY 2
The Riva degli Schiavoni তে খুব সুন্দর সময় কাটালাম। জলাশয়ের সম্মুখ্যে একটি সুন্দর promenade
The Scuola di San Giorgio degli Schiavoni
The Gallerie dell'Accademia ১৯০০ শতাব্দীর আগের একটি আর্ট মুসিয়াম
The Peggy Guggenheim Collection গ্রান্ড ক্যানেল এর উপর আরো একটি আর্ট মুসিয়াম

এর পর একটি গন্ডোলা রাইড গ্রান্ড ক্যানেল এর উপর। গন্ডোলা চড়ে ভেনিস না দেখলে টুর অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

পেটপুজো : ইতালির সব জায়গায় যেমন ভেনিস এও খাবার বলতে পিজা ও পাস্তা। ইতালির Gelato পৃথিবী শ্রেষ্ঠ এবং অসাধারণ। এ ছাড়া KFC, McDonalds, Subway, Burger King এর মতো খাবার এর দোকান তো আছেই চতুর্দিকে। একটু খুঁজলে ইন্ডিয়ান, চাইনিস ও বাঙালি খাবার ও পাওয়া যাবে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে যে ভেনিস এ আপনি বাংলা বলে অনেক জায়গায় কাজ চালিয়ে দিতে পারবেন। ইতালির বেশির ভাগ বড় শহরে হোটেল, রেস্তোরাঁ চাকরি করেন অনেক বাংলাদেশী। এমন কি ফেরিত্তয়ালা ও বেশির ভাগ বাংলাদেশী।
ভেনিস এমন একটি জায়গা যেখানে জীবনে একাধিক বার যাওয়া যায়।

ফেরার সময় পরের দিন সকালে আমরা একটি ওয়াটার ট্যাক্সি করে ভেনিস এয়ারপোর্ট পৌঁছালাম। মন তা অবশ্যই একটু খারাপ হয়ে ছিল। মনে মনে বলছিলাম,

Bye Bye Venice, Until next time!